শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নবাবগঞ্জ উপজেলার সব ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। এরপর ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে চলে যায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানরা। তাঁরা অনেকটা আত্মগোপনে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বলে দাবি করেন। এরই মধ্যে দুই উপজেলার ২০ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও দোহার পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার একটি রেষ্টুরেণ্টে নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪ ইউপি চেয়ারম্যান মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরিষদের দায়িত্ব পালনে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করেন তারা।
চেয়ারম্যানের পক্ষে নবাবগঞ্জের বাহ্রা ইউপি চেয়ারম্যান ড. সাফিল উদ্দিন মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁদেরকে স্থানীয় কিছু বিএনপি নামধারী নেতাকর্মীরা এলাকায় পেলে হাত পা ভেঙ্গে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়। যে কারণে তাঁরা পরিবার নিয়ে আতংকে দিন কাটাছে। নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ চৌধুরী বলেন, তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না। দুর্বৃত্তরা তাঁর বাড়ি ও ইউপি অফিসে হামলা করে। তিনি গোপনে দূরে অবস্থান করে অফিসের সই স্বাক্ষর করছেন। এতে সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রাপ্য নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও তিনি মনে করেন। তিনি সরকারের কাছে তাঁদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান এমএ বারি মোল্লা বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি জনসেবা করতে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। এলাকায় অনুপস্থিত আছেন। তারপরেও মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
নবাবগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানদের সংবাদ সম্মেলন
রাজধানী ঢাকায় একটি রেষ্টুরেণ্টে নবাবগঞ্জের কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এলাকায় নিরাপত্তা চাই। বিভিন্ন ভাতা সেবা গ্রহীতা, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদসহ নানা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। একটি পক্ষ ছাত্র আন্দলনের বিজয়কে পুঁজি করে ইউনিয়ন পরিষদগুলো খুলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
নবাবগঞ্জের আগলা ইউপি চেয়ারম্যান শিরিন চৌধুরী বলেন, তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মিথ্যা মামলা জড়ানো হয়েছে। এছাড়া তাঁর একটি জমিও দুর্বৃত্তরা দখল করেছে বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বক্সনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ, শোল্লার মিজানুর রহমান কিসমত, চুড়াইনের আব্দুল জলিল, কলাকোপার আলহাজ্ব ইব্রাহিম খলিল, গালিমপুরের আজিজুর রহমান আজিম, বান্দুরার হুমায়ন কবির, কৈলাইলের বশির আহমেদ, যন্ত্রাইলের মনিরুজ্জামন তুহিন, জয়কৃষ্ণপুরের রেশমা আক্তার প্রমুখ।